শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে র্যাবের করা দুই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিচ্ছে পুলিশ। সোমবার (০৪ জানুয়ারি) চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাইনি বলে আমরা প্রতিবেদন জমা দিচ্ছি।’
তবে মামলার এজাহারে র্যাবের ডিএডি মো. কাইয়ূম উল্লেখ করেছিলেন, চকবাজারের দেবীদাস ঘাট লেনের ২৬ নম্বরে রয়েছে ‘চান সর্দার দাদাবাড়ি’ ভবন। এই ভবনে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ কয়েকজন ব্যক্তি অবস্থান করছেন— এই খবরের সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা নিতে ২০২০ সালের ২৬ অক্টোবর র্যাবের ৮ থেকে ১০ জন সদস্য ঘটনাস্থলে যান। সেখানে অভিযান চালিয়ে র্যাব অস্ত্র–মাদকসহ আটক করে এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান মো. সেলিম ও জাহিদুল মোল্লাকে।
অভিযানকালে ইরফান সেলিমকে মাদক রাখার দায়ে এক বছর ও অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে ছয় মাস এবং ইরফানের দেহরক্ষী জাহিদুলকে ওয়াকিটকি বহনের দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পরে ইরফান ও জাহিদের বিরুদ্ধে চকবাজার থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আলাদাভাবে চারটি মামলা দায়ের করে র্যাব। চার মামলাই তদন্ত করেন চকবাজার থানার পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন।
নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধ ও অসদাচরণের অভিযোগে ইরফানকে ইতোমধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। দেহরক্ষী জাহিদুলসহ দুজনই এখন কারাগারে আছেন।-ডেইলি স্টার